পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা লাগে ২০২৪

আধুনিক আইটিঃ প্রিয় ভিউয়ারস আধুনিক আইটির পক্ষ থেকে সবাইকে শুভেচ্ছা। আজকে আমরা জানবো পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা লাগে? এর আগে আমরা জেনেছিলাম বিদেশ যেতে কি কি লাগে। এ সম্পর্কিত সেই ভিডিওটি আমাদের ইউটিউভ চ্যানেলে রয়েছে সেটা দেখে নিতে পারেন। ভিডিও লিংক দেয়া থাকবে ডেসক্রিপশন এবং কমেন্টে।

তাহলে চলুন প্রথমেই জেনে নেই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?

  1. জন্ম নিবন্ধন অথবা ভোটার আইডি কার্ড।
  2. বাবা-মায়ের ভোটার আইডির কপি।
  3. নাগরিকত্ব সনদ বা চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট।
  4. পেশার প্রমাণপত্র।
  5. স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণপত্র।
  6. বিবাহিত হলে স্বামী/ স্ত্রীর ভোটার আইডি কার্ড। এবং বিবাহের সার্টিফিকেট।
  7. জরুরী যোগাযোগ।
  8. পুরাতন পাসপোর্ট থাকলে সেই কপি।
  9. ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  10. অনলাইন আবেদন ফ্রম।
  11. ব্যাংক ড্রাফট এর কপি। 

জন্ম নিবন্ধন অথবা ভোটার আইডি কার্ডঃ যাদের বয় ০১ দিন থেকে ১৯ বছর পর্যন্ত তারা জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করতে পারবেন। ১৯ বছরের বেশী হলে জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড লাগবে।

বাবা মায়ের ভোটার আইডির কপিঃ বাবা মায়ের ভোটার আইডির কপি লাগবে, বাবা-মা মৃত হলে মৃত্যু সনদ চাইতে পারে।

নাগরিকত্ব সনদ বা চেয়ারম্যান সার্টিফিকেটঃ এটি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেয়া হয়।

পেশার প্রমাণপত্রঃ এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি চাকরিজীবী হলে নিজ অফিস থেকে এনওসি লাগবে, বেসরকারী চাকরিজীবী হলে নিজ অফিস থেকে প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রত্যয়ন, ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স, শিক্ষার্থী হলে সার্টিফিকেট ও পরিচয়পত্র, বেকার হলে ইউনিয়ন পরিষদ হতে বেকারত্বের সার্টিফিকে, কৃষক হলে জমির পর্চা বা দলিল এবং গৃহিণী হলে স্বামীর পেশার প্রমাণপত্র।

স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণপত্রঃ নিজ কিংবা নিজের পরিবার অথবা নিকটাত্বীয় কারো গ্যাস, পানি অথবা বিদ্যুৎ বিলের কপি। এগুলো না থাকলে জমির দলিল কিংবা পর্চার কপি।

বিবাহিত হলেঃ স্বামী/ স্ত্রীর ভোটার আইডি কার্ড এবং বিবাহের সার্টিফিকেট। যেমনঃ কাবিন নামা কিংবা বিবাহের প্রমাণপত্র।

জরুরী যোগাযোগঃ ইমার্জেন্সি কন্ট্রাক্ট নামে একটি অপশন থাকে যেখানে নিকটাত্বীয় যেকোন একজনের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার প্রইয়োজন হয়ে থাকে এবং তার ভোটার আইডি কিংবা জন্ম নিবন্ধন লাগে।

পুরাতন পাসপোর্ট থাকলেঃ সেই কপি, ছবির পাতা ও ঠিকানার পাতা সহ একসাথে (রঙ্গিন হলে ভালো হয়)

১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবিঃ সব যায়গায় লাগে না, কিছু কিছু অফিসে লাগে।

নলাইন আবেদন ফ্রমঃ ই-পাসপোর্ট এর ওয়েব সাইট হতে তাদের নির্দেশিত মাধ্যমে আবেদন করে আবেদন ফর্ম প্রিন্ট করে ৩য় পৃষ্ঠায় আবেদনকারীর স্বাক্ষর দিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কিভাবে ই-পাসপোর্ট এর জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হয় এ সম্পর্কে আমাদের একটি ভিডিও রয়েছে সে ভিডিও দেখে সঠিক নিয়মে আবেদন করতে পারবেন। ভিডিও লিংক দেয়া থাকবে ডেসক্রিপশন এবং কমেন্টে।

ব্যাংক ড্রাফট এর কপিঃ অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার সময় সেখানেই তাদের দেয়া লিংকের মাধ্যমে ব্যাংক ড্রাফট করা যাবে, তবে সেই লিংকটি অনেল সময় সঠিকভাবে কাজ করে না। আমরা পরামর্শ দিব সেখানে ব্যাংক ড্রাফট না আবেদন কপ্লিট করে এসে এ-চালান এর মাধ্যমে (এটাও অনলাইন) ব্যাংক ড্রাফট করা। কেউ চাইলে সরাসরি ব্যংকে গিয়েও কাজটি করতে পারবেন। আমরা কিভাবে এটি করে থাকি অর্থাৎ (এ-চালান) এর ম্যাধমে উপরে দেয়া লিংক এর আবেদন ভিডিওর শেষে সেটিও দেখানো হয়েছে।
 

পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?
৪৮ পৃষ্ঠা এবং৫ বছরের মেয়াদঃ
  • নিয়মিত ডেলিভারি: ৪০২৫ টাকা (২১ কর্মদিবস শুক্র ও শনিবার ব্যাতিত)।
  • এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ৬৩২৫ টাকা (১০ কর্মদিবস শুক্র ও শনিবার ব্যাতিত)।
  • সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ৮৬২৫ টাকা (২ন কর্মদিবস শুক্র ও শনিবার ব্যাতিত)।

৪৮ পৃষ্ঠা এবং ১০ বছরের মেয়াদঃ
  • নিয়মিত ডেলিভারি: ৫৭৫০ টাকা (২১ কর্মদিবস শুক্র ও শনিবার ব্যাতিত)।
  • এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ৮০৫০ টাকা  (১০ কর্মদিবস শুক্র ও শনিবার ব্যাতিত)।
  • সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ১০৩৫০ টাকা  (১০ কর্মদিবস শুক্র ও শনিবার ব্যাতিত)।

৬৪ পৃষ্ঠা এবং ৫ বছরের মেয়াদ সহ ই-পাসপোর্ট
  • নিয়মিত ডেলিভারি: ৬৩২৫ টাকা (২১ কর্মদিবস শুক্র ও শনিবার ব্যাতিত)।
  • এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ৮৬২৫ টাকা  (১০ কর্মদিবস শুক্র ও শনিবার ব্যাতিত)।
  • সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ১২০৭৫ টাকা (১০ কর্মদিবস শুক্র ও শনিবার ব্যাতিত)।

৬৪ পৃষ্ঠা এবং ১০ বছরের মেয়াদ সহ ই-পাসপোর্ট
  • নিয়মিত ডেলিভারি: ৮০৫০ টাকা (২১ কর্মদিবস শুক্র ও শনিবার ব্যাতিত)।
  • এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ১০৩৫০ টাকা (১০ কর্মদিবস শুক্র ও শনিবার ব্যাতিত)।
  • সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ১৩৮০০ টাকা (২ কর্মদিবস শুক্র ও শনিবার ব্যাতিত)।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url